Skip to main content

আপনি কি তৈরি আছেন? Facebook বা Google এর কাছে আপনার সম্পর্কে কি পরিমাণ তথ্য রয়েছে তা জানার জন্য?




আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য গুলো ঠিক কত দূর চলে যায় তা আপনি জানলে অবাক হবেন। আমি চেষ্টা করব সেই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো এমন সব তথ্য যা আপনার চিন্তা ধারণার বাহিরে।  অবাক হবেন জেনে ফেসবুক এবং Google কি পরিমাণ তথ্য রাখে আপনার সম্পর্কে যা হয়ত আপনার অতি কাছের মানুষো রাখেন না।

Google জানে আপনি কোথায় ছিলেন

Google সংরক্ষণ করছে আপনার  সকল অবস্থান (যদি লোকেশন ট্রাকিং চালু থাকে) ঠিক প্রতিবার যখন আপনি মোবাইলটি চালু করেন।  আপনি দেখতে পারবেন প্রথম দিনের মোবাইল ব্যবহারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনার সকল অবস্থানের একটি টাইমলাইন।



উপরের ছবিটিতে আয়ারল্যান্ডের একজন ভদ্রলোকের গত 12 মাসের বিভিন্ন অবস্থান লাল চিহ্নিত বিন্দু দিয়ে বোঝানো হচ্ছে। এবার আপনি আপনার অবস্থান গুলোকে খুঁজে বের করুন।

নিচের লিংকটিতে গিয়ে আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে আপনার সকল অবস্থান দেখতে  পারবেন।
https://www.google.com/maps/timeline?pb


Google জানে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে যা যা লিখে সার্চ দিয়েছেন এবং কি কি মুছে ফেলেছেন

Google সংরক্ষণ করে আপনার প্রতিটি ডিভাইসের সার্চ হিস্টোরি। তার মানে দাঁড়ায়  আপনি যদি কোন ডিভাইসের সার্চ হিস্টোরি মুছে ফেলেন সেসব হিস্টরি Google এর কাছে সংরক্ষণ থাকে এবং তা কখনোই মুছে  ফেলা যায় না। আপনার নিজের সার্চ হিস্টোরি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://myactivity.google.com/myactivity


সার্চ হিস্টোরি

মুছে ফেলা তথ্য গুলোও গুগল রেখে দিয়েছে

Google এর কাছে আপনার জন্য একটি বিজ্ঞাপণ প্রোফাইল আছে


গুগল আপনার জন্য একটা বিজ্ঞাপণ প্রোফাইল তৈরি করে রেখছে। এই প্রোফাইলটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে  আপনার তথ্যের উপর। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছেঃ আপনার অবস্থান, লিঙ্গ, বয়স, শখ, পেশা, আগ্রহ,  রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস, আপনার ওজন, ইনকাম।


আমার বিজ্ঞাপণ প্রোফাইল

আপনার বিজ্ঞাপণ প্রোফাইল দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
https://www.google.com/settings/ads/


Google আপনার ব্যবহার করা সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন জানে

Google সংরক্ষণ করে আপনার প্রতিটি ব্যবহৃত অ্যাপস এবং এক্সটেনশন  গুলোর তথ্য কে। Google জানে আপনি কখন অ্যাপস ব্যবহার করছেন, কোথায় করছেন,  কাদের সাথে ব্যবহার করছেন। তার মানে দাঁড়ায় ফেসবুকে আপনি কার সাথে চ্যাট করছেন, কখন চ্যাট করছেন কি চ্যাট করছেন এবং ঠিক কখন আপনি ঘুমাতে যাচ্ছেন সকল কিছুই Googleজানে।
আপনার ব্যবহার করা সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের তথ্য দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
https://security.google.com/settings/security/permissions

Google এর  কাছে আপনার ইউটিউব এর সকল  ইতিহাস রয়েছে

আপনি যতই ভিডিও দেখে হিস্টরি ক্লিয়ার করুন না কেন আসলে কোন লাভ নেই। হয়তো বা কিছুক্ষণের জন্য আপনার ডিভাইসের হিস্টরি ক্লিয়ার হবে কিন্তু বসের কাছে সব তথ্যই থেকে যায়।



আপনার ইউটিউব এর সকল  ইতিহাস দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
https://www.youtube.com/feed/history/search_history

Google কাছে আপনার সম্পর্কে যে সকল ডাটা রয়েছে তা দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য শব্দের ডকুমেন্ট তৈরি করা যাবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে সকল তথ্য Google আপনার কাছ থেকে নিয়েছে সেগুলো কি দেখার সুযোগ আপনার রয়েছে?  উত্তর হ্যাঁ রয়েছে। Google আপনাকে সেই সুযোগটি দিচ্ছে। আপনি যদি Google কাছে রিকোয়েস্ট করেন তাহলে আপনাকে একটি ফাইল ধরিয়ে  দিবে। ফাইলটির সাইজ কয়েক জি বি হতে পারে।
ফাইলটিতে যে সকল তথ্য থাকবেঃ
  • Bookmarks
  • Email
  • Contacts
  • Google Drive files
  • YouTube videos  information
  • Photos  যা আপনি আপনার ফোন দিয়ে তুলেছেন
  • Googleএর  মাধ্যমে যে সকল Businesses করেছেন
  • Google এর মাধ্যমে যে সকল Products  ক্রয় করেছেন
  • Calendar
  • Google hangout sessions
  • আপনার Location history
  • যে সকল music আপনি শুনেছেন
  • Google books  আপনি ক্রয় করেছেন
  • যে সকল Google groups আপনি যুক্ত আছেন
  • যে সকল websites  আপনি তৈরি করেছেন
  • যে সকল phones  আপনি ক্রয় করেছেন
  • যে সকল pages আপনি শেয়ার করেছেন
  • আপনি দিনে কত কদম হেঁটেছেন

ইমেইল এর একটি তথ্য যেখানে স্প্যাম ইমেইল ও বাদ যায়নি

আপনার নিজের সকল  তথ্য দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://www.google.com/takeout

ফেসবুকের কাছেও আপনার সম্পর্কে  অগণিত তথ্য রয়েছে

ফেসবুকও Google এর  মতোই আপনার সকল তথ্য ডাউনলোড করার একটি অপশন দিয়েছে।  যেখান থেকে আপনার সম্পর্কে আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন।
আপনি কাকে মেসেজ করেছেন  কাদের সাথে আপনার কথা হয় কাকে মেসেঞ্জারে কল করেন, কোন মেসেজ গুলো আপনি ডিলিট করে দিয়েছেন।  কোন টিউনে আপনি লাইক দিয়েছেন। আপনার সকল স্ট্যাটাস, ভিডিও শেয়ারিং, অডিও শেয়ারিং, টিউমেন্ট সবকিছুই আপনি ডাউনলোডকৃত সে ফাইলটিতে পেয়ে যাবেন। একটি বিষয় লক্ষণীয় আপনি যদি ভাবেন আপনার ফাইলে যে সকল স্ট্যাটাস, ম্যাসেজ ডিলিট করে দিয়েছিলেন তা থাকবে না তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বসবাস করছেন। ডিলিটকৃত  সকল তথ্য পেয়ে যাবেন সেই ফাইলটিতে।
ফেসবুক ইনফরমেশন[/caption]
ফেসবুকের কাছে আপনার তথ্য পেতে  এই লিঙ্কে ক্লিক করুন


ফেসবুক আপনার স্টিকার থেকে আপনার লগইন অবস্থান সবকিছু সংরক্ষণ করে

ফেসবুক আপনার সকল চিন্তা, ধারণা, আগ্রহ  কে সংরক্ষণ করে। এমনকি আপনি আপনার বন্ধুর সাথে কি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন সেই বিষয়টিও  সংরক্ষন করে থাকে। প্রত্যেকবার আপনার লগইন এর জায়গা কোথায় থেকে লগইন করছেন, কোন সময় লগইন করছেন, এবং কোন ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন করছেন সে  সকল তথ্য ফেসবুক সংরক্ষনে রাখে। ফেসবুক আরো সংরক্ষণ করে আপনার সকল অ্যাপ্লিকেশন যা ফেসবুক দিয়ে কানেক্টেড। যা দিয়ে আপনার আগ্রহ, আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শ, আপনি কি সিংগেল  নাকি সিঙ্গেল না বা আপনি কোন ফোনটি ইউজ করছেন সকল তথ্য ফেসবুক জানে।

তারা আপনার ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন অ্যাক্সেস করতে পারে
সবচাইতে ভয়ংকর বিষয়টি এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনার লোকেশন ট্রাকিং করা বা আপনি কোন সফটওয়্যার টি ইন্সটল করেছেন এবং তা  কখন ব্যবহার করছেন এবং কিসের জন্য ব্যবহার করছেন তা তাদের কাছে জানা আছে। আপনার ওয়েব ক্যামেরার এক্সেস নেওয়া এবং মাইক্রোফোনের অ্যাক্সেস নেওয়া, আপনার লোকাল টাইম, আপনার সকল কন্টাকস, আপনার ই-মেইল, আপনার কল হিস্টরি, সকল মেসেজ যেগুলো আপনি পাঠিয়েছেন বা রিসিভ করেছেন, যে সকল ফাইল ডাউনলোড করেছেন, যে সকল গেম খেলেছেন আপনার ছবি এবং ভিডিও আপনার শোনা গান, আপনার সার্চ হিস্টোরি, আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি এবং আপনি কোন রেডিও স্টেশনে গান শুনেছেন সকল তথ্য তারা অ্যাক্সেস করতে পারে।



এই আর্টিকেলটি  Dylan Curran এর লিখা  “Are you ready? Here is all the data Facebook and Google have on you” থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। যা  the guardian পত্রিকায় ৩০ শে মার্চে, ২০১৮ তে প্রকাশ করা হয়েছিল।

Popular posts from this blog

বারকোড কি জানুন

বারকোড বারকোডঃ বারকোড হল মেশিনে তৈরি এক প্রকার সাংকেতিক কোড। বারকোডের জনক বিজ্ঞানী মোর্স। বড় বড় শপিং মলে শপিং করতে গেলে আপনি দেখবেন জিনিসের সাথে লাগানো একটি ছোট কাগজে  যেখানে দাম লেখা আছে তার একটু ওপরে কালো কালো দাগ দেওয়া থাকে এটি হলো বারকোড । একটি ছোট যন্ত্র কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করা থাকে যার মধ্যে থাকে লাল আলো সেই আলো কালো দাগ গুলোর উপর ধরলেই  কম্পিউটারে জিনিসটির নাম এবং মূল্য চলে আসে । মূলত যাতে বড় কোন হিসাব করতে ভুল না হয় সেজন্য বারকোড ব্যবহার হয় । কিছু বারকোড তৈরীর সাইট লিঙ্কঃ barcodesinc barcode tec-it b arcode

অধ্যায় নং ১ হিসাববিজ্ঞান পরিচিতিঃ মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় হিসাব বিজ্ঞানের ভূমিকা

নবম দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান ------------------------------------------------------- অধ্যায় নং ১ হিসাববিজ্ঞান পরিচিতিঃ মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় হিসাব বিজ্ঞানের ভূমিকা ================================== যে শাস্ত্র পাঠ করলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আর্থিক কার্যাবলী হিসাবের বইতে সুষ্ঠুভাবে লিপিবদ্ধ করা যায় এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে এর সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়,তাকেই হিসাববিজ্ঞান বলা হয়।

কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে পার্থক্য

আমাদের কাছে কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটি খুবই কমন। কিন্তু আমরা সবাই হয়ত কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য গুলো জানি না।  আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো মৌলিক পার্থক্য গুলো। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যে উচ্চশিক্ষায় কোন বিষয়টি নিয়ে পড়বে তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগে। আপনি যদি সেই সিদ্ধান্তহীনতায় বা দ্বিধায় ভোগে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে আপনার দ্বিধা দূর করবে। এই আর্টিকেলটি আপনাকে দিবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য গুলো। কম্পিউটার সাইন্স কি? অন্যান্য সাইন্স ডিগ্রী মতো কম্পিউটার সাইন্সে কম্পিউটার থিওরি , অ্যালগোরিদম কম্পিউটেশনাল সিস্টেম এ সব শেখানো হয়।আপনি বলতে পারেন যে কম্পিউটার বিজ্ঞান কম্পিউটারের গতিপথ এবং ভবিষ্যৎ কি হবে এবং এর অ্যাপ্লিকেশনগুলি বলবে।এখানে আপনি অনেক প্রোগ্রামিং করবেন বিভিন্ন ভাষার এবং সাথে অনেকগুলো প্রজেক্ট করবেন। কম্পিউটার সাইন্স  প্রোগ্রামে আপনাকে যা শেখানো হবে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ।যেমন সি ,সি প্লাস প্লাস ,জাভা ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স