জেএসসি–জেডিসির স্থগিত পরীক্ষাটি হবে ৯ নভেম্বর


jsc_jdc_exam
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল পরীক্ষায় (জেডিসি) অংশগ্রহণকারী ২৮ লাখ ৬৮ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার)। ওই দিন এ দুটি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার জানান, ৩০ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের প্রস্তাব দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি সময় দিলে ওইদিনই ফল প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে আগামী ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক উদ্বোধন করবেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি-জেডিসির ফল তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা পরে শিক্ষামন্ত্রী নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশে সাধারণ ৮টি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা নেয়া হয়; শেষ হয় ১৮ নভেম্বর। এবার জেএসসি-জেডিসির ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছিল ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন ছাত্রী ও ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন ছাত্র।
আট বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন পরীক্ষা দেয়। গত বছর এ পরীক্ষায় ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন অংশ নিয়েছিল। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫৬ হাজার ৪৫ জন।
জেএসসিতে এবার ৯৬ হাজার ২১২ জন ও জেডিসিতে ১৪ হাজার ৩৬৭ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। বিদেশের ৯টি কেন্দ্রে ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দেয়। গত বছর এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল, তারা এবার পরীক্ষা দিয়েছে।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মমুখী শিক্ষা এবং চারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। বছরজুড়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে এসব বিষয়ের নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ডে সরবরাহ করা হয়েছে।