Skip to main content

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট (এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট


ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, Database Management System,ICT,HSC
Data Center


তোমরা কি আগেকার দিনের অফিসগুলো দেখেছ? তখন অফিসে অফিসে কম্পিউটার থাকতো না। একটা টেবিল থাকত আর টেবিলভর্তি একগাদা ফাইলের স্তুপ থাকতো।  কিংবা দেখা যেত টেবিলের পেছনে আলমারিতে রাখা গাদা গাদা ফাইল।
তখন ফাইল ভর্তি কর্মচারীদের বিভিন্ন তথ্য থাকত। এসব ফাইল যারা সামলাতো তারাই বুঝত কাজটা কতটা ঝামেলার। একজন কর্মচারীর তথ্য বের করতে হাজারটা ফাইল ঘাটাঘাটি করা লাগতো।
এখন কিন্তু চিত্র পুরো পাল্টে গেছে। এখনকার অফিসগুলোতে দেখা যায় টেবিলে একটি কম্পিউটার রাখা আর কিছু খাতা কলম। এখন কারো তথ্য বের করতে আর হাজারটা ফাইল ঘাঁটা লাগে না। যার তথ্য বের করা লাগবে তার নামটা লিখে সার্চ দিলেই সব সেকেন্ডের মধ্যে সব তথ্য পাওয়া যায়। আগের তুলনায় কতটা সুবিধাজনক চিন্তা করে দেখেছ?
এই কাজটা সম্ভব হয়েছে ডেটাবেজের মাধ্যমে। আজকে আমরা এই ডেটাবেজ সম্বন্ধেই জানব। কিভাবে ডেটাবেজ এত্ত বিশাল তথ্য সংরক্ষন করে, কিভাবে সেসব তথ্য পাওয়া যায় আর কিভাবেই বা ডেটাবেজ তৈরী করা যায় এসব জানব।

উপাত্ত ও তথ্য (Data & Information)
আমরা প্রায় ডাটা শব্দটি ব্যবহার করি তাই না? উপাত্ত শব্দটি তুলনামূলক কম ব্যবহার করি।
ডাটা মানেই কিন্তু উপাত্ত।
আর ইনফরমেশন মানে তথ্য।
আমরা অনেকেই ডেটা আর ইনফরমেশনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। গুলিয়ে ফেলি।
চলো খুব সহজ একটা উদাহরণ দিই। ধরো তোমাকে বলা হলো 204। এই সংখ্যাটি দ্বারা তুমি কী বুঝলে?
আসলে কিছুই বোঝা গেল না তাই না? কারণ সংখ্যাটি যেকোন কিছুই হতে পারে।
এখন তোমাকে যদি বলি যে, রফিকের রোল 204। তাহলে সেটা একটা অর্থ প্রকাশ করছে তাই না?
এখানেই হচ্ছে ডেটা আর ইনফরমেশনের পার্থক্য। ডেটা দিয়ে কোন বিষয় সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় না। আর ইনফরমেশন দিয়ে ডেটা সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যায়।
যদি একটু বইয়ের ভাষায় বলি তাহলে, সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট হচ্ছে ডেটা।
আর তথ্য হচ্ছে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটার সমষ্টি।
আশা করি ডেটা আর ইনফরমেশন নিয়ে আর কখনো তোমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হবে না।

এনটিটি, এট্রিবিউট ও ভ্যালু (Entity, Attribute & Value)


এনটিটি



যেসকল বিষয় বা বস্তুর ডাটা আছে সবই হচ্ছে এনটিটি। যেমনঃ একজন ছাত্র একটি এনটিটি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তার ডাটা হতে পারে তার নাম, রোল নম্বর ইত্যাদি।  কতকগুলো এনটিটিকে একসাথে বলে এনটিটি সেট।


এট্রিবিউট



একটি এনটিটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এট্রিবিউট। যেমনঃ ধরো একজন কাস্টোমারকে যদি আমরা এনটিটি ধরি তাহলে এট্রিবিউট হবে Customer_Name, Customer_City, Phone_Number ইত্যাদি।

এট্রিবিউটকে ফিল্ড ও বলা হয়। যাহাই এট্রিবিউট তাহাই ফিল্ড। পরে আবার বিভ্রান্তিতে পড়ো না কিন্তু!


ভ্যালু 



এনটিটির বৈশিষ্ট্য গুলোকে বলা হয় এট্রিবিউট। আর এট্রিবিউটের মানকেই বলে ভ্যালু। কঠিন মনে হচ্ছে

আচ্ছা একটা উদাহরণ দিইঃ
মনে করো একটা ব্যাংকে কাস্টোমারকে যদি এনটিটি ধরি তাহলে এট্রিবিউট হতে পারে কাস্টোমারের নাম, শহর ইত্যাদি। আর এট্রিবিউটের মান কেই বলে ভ্যালু। যেমনঃ কাস্টোমারের নাম হতে পারে রহিম, করিম ইত্যাদি। আবার শহরের নাম হতে পারে ঢাকা, রাজশাহী ইত্যাদি। সুতরাং এগুলো হচ্ছে ভ্যালু।


ডেটাবেজ (DATABASE)

কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের ডেটা ঐ প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। ডেটাবেজের মাধ্যমে ডেটাগুলো সুশৃঙ্খলভাবে থাকে এবং সহজে কোন তথ্য খুঁজে  পাওয়া যায়। ডেটাবেজ একটি প্রতিষ্ঠানের ডেটা সুরক্ষিত রাখে।
ডেটাবেজ হচ্ছে বিশাল পরিমাণ ডেটার সমাবেশ।

এখন এই ডেটাবেজ হচ্ছে আবার দুই প্রকারঃ

সাধারণ ডেটাবেজ

শুধুমাত্র একটি ফাইলবা পরস্পর সম্পর্কবিহীন একাধিক ফাইলের সমন্বয়ে সাধারণ ডেটাবেজ গঠিত হয়। এই ধরনের ডেটাবেজে রেকর্ডগুলো তালিকা আকারে থাকে।

সাধারণ ডেটাবেজ ,general database


রিলেশনাল ডেটাবেজ

নাম শুনেই হয়ত বুঝতে পারছো, এই ডেটাবেজের ফাইলগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয়। এটি ডেটাবেজের সবচেয়ে আধুনিক সংগঠন। যেমন নিচের ফাইল দুইটি দেখ। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। তাই তাদের মিলে গঠিত ডেটাবেজের নাম রিলেশনাল ডেটাবেজ।

রিলেশনাল ডেটাবেজ, Relation Database


ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DATABASE MANAGEMENT SYSTEM)

আচ্ছা, ডেটাবেজ তো বুঝলাম। এখন ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আবার কী?
মনে করো, তুমি একটা ডেটাবেজ তৈরী করলে। এখন ডেটাবেজ বানালেই তো হবে না। ডেটাবেজ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। অর্থাৎ ধরো, তুমি ক্লাসের ছাত্রদের নিয়ে একটা ডাটাবেজ তৈরী করলে। এখন ধরো, কয়েকদিন পর একজন নতুন ছাত্র ক্লাসে যোগ দিল।
তাহলে তার তথ্য ডেটাবেজে যোগ করা প্রয়োজন। যোগ করাকে বলে ইনসার্ট করা।
একইভাবে কিছু তথ্য ডিলেট করা লাগতে পারে। কিছু তথ্য আপডেট করা লাগতে পারে। অর্থাৎ ডেটাবেজ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
একেই বলে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট।
এখন, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করা। যেমন কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলোঃ
Microsoft Access, Oracle, dBase, Condor, Foxbase, R. Base 4000, Paradox ইত্যাদি।
সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডেটাবেজের রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচালনা করাকে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে।


ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর কাজ (Functions of DBMS)


১। ডেটাবেজ তৈরী করা।

২। নতুন রেকর্ড যোগ করা।
৩। রেকর্ড আপডেট করা।
৪। অপ্রয়োজনীয় রেকর্ড মুছে ফেলা।
৫। ডেটা সংরক্ষণ করা।
৬। ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭। ডেটাবেজের ব্যাকআপ রাখা এবং রিকভারি করা।
৮। প্রয়োজনীয় ডেটাবেজ প্রিন্ট করা।
৯। একসাথে একাধিক প্রবেশকারীর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।
১০। ডেটাবেজের রিপোর্ট তৈরী করা।

Popular posts from this blog

বারকোড কি জানুন

বারকোড বারকোডঃ বারকোড হল মেশিনে তৈরি এক প্রকার সাংকেতিক কোড। বারকোডের জনক বিজ্ঞানী মোর্স। বড় বড় শপিং মলে শপিং করতে গেলে আপনি দেখবেন জিনিসের সাথে লাগানো একটি ছোট কাগজে  যেখানে দাম লেখা আছে তার একটু ওপরে কালো কালো দাগ দেওয়া থাকে এটি হলো বারকোড । একটি ছোট যন্ত্র কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করা থাকে যার মধ্যে থাকে লাল আলো সেই আলো কালো দাগ গুলোর উপর ধরলেই  কম্পিউটারে জিনিসটির নাম এবং মূল্য চলে আসে । মূলত যাতে বড় কোন হিসাব করতে ভুল না হয় সেজন্য বারকোড ব্যবহার হয় । কিছু বারকোড তৈরীর সাইট লিঙ্কঃ barcodesinc barcode tec-it b arcode

অধ্যায় নং ১ হিসাববিজ্ঞান পরিচিতিঃ মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় হিসাব বিজ্ঞানের ভূমিকা

নবম দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান ------------------------------------------------------- অধ্যায় নং ১ হিসাববিজ্ঞান পরিচিতিঃ মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় হিসাব বিজ্ঞানের ভূমিকা ================================== যে শাস্ত্র পাঠ করলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আর্থিক কার্যাবলী হিসাবের বইতে সুষ্ঠুভাবে লিপিবদ্ধ করা যায় এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে এর সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়,তাকেই হিসাববিজ্ঞান বলা হয়।

কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে পার্থক্য

আমাদের কাছে কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটি খুবই কমন। কিন্তু আমরা সবাই হয়ত কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য গুলো জানি না।  আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো মৌলিক পার্থক্য গুলো। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যে উচ্চশিক্ষায় কোন বিষয়টি নিয়ে পড়বে তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগে। আপনি যদি সেই সিদ্ধান্তহীনতায় বা দ্বিধায় ভোগে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে আপনার দ্বিধা দূর করবে। এই আর্টিকেলটি আপনাকে দিবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য গুলো। কম্পিউটার সাইন্স কি? অন্যান্য সাইন্স ডিগ্রী মতো কম্পিউটার সাইন্সে কম্পিউটার থিওরি , অ্যালগোরিদম কম্পিউটেশনাল সিস্টেম এ সব শেখানো হয়।আপনি বলতে পারেন যে কম্পিউটার বিজ্ঞান কম্পিউটারের গতিপথ এবং ভবিষ্যৎ কি হবে এবং এর অ্যাপ্লিকেশনগুলি বলবে।এখানে আপনি অনেক প্রোগ্রামিং করবেন বিভিন্ন ভাষার এবং সাথে অনেকগুলো প্রজেক্ট করবেন। কম্পিউটার সাইন্স  প্রোগ্রামে আপনাকে যা শেখানো হবে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ।যেমন সি ,সি প্লাস প্লাস ,জাভা ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স